রইস রহমান গায়ক নন, তবু বুকে ধারণ • করেন সমুদ্রসম শৈল্পিক হৃদয়। আত্মবন্দনা কিংবা ভণিতায় আপন পরিচয় গেঁথে দেন। স্নিগ্ধসুরের মুগ্ধতায় কোনও একদিন জীবন্ত হয়ে উঠবে তাঁর গান। জীবনের নানামুখী ঘাত-প্রতিঘাত আনন্দবেদনাভাষ্য লিখিত হয় তাঁর কথা ও গানে। সংসার, প্রেমতত্ত্ব, স্রষ্টা, প্রকৃতি, সৃষ্টি, বিরহ, দেশপ্রেম, যৌবন, গুরুতত্ত্ব, খেদ, নবিতত্ত্ব, মাতৃতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব কিছুই বাদ পড়েনি তাঁর লেখায়। যেন চর্যার এক সো পদুমা চৌষট্টি পাখুড়ি। যার প্রতিটি পাপড়িই আলাদা কথা কয়। আলাদা সুরের মূর্ছনায় মাতাল হতে চায়। জীবন আর জীবনবোধের গভীর সত্য উপলব্ধি করায়। মেঘ ভেসে যায় নীলে তাঁর চতুর্থ ও দীর্ঘ কলেবরের গানের বই। এ যেন করোনাবন্দি স্থবির পৃথিবীতে ব্যক্তিক উচ্ছ্বাস।
গানের শরীর নিয়ে আছে তাঁর আলাদা নিরীক্ষা। স্বরছন্দের দুর্দান্ত মুনশিয়ানা দিয়ে পঙ্ক্তিবিন্যাস কিংবা স্থায়ী অন্তরা বিভাজনেও দেখান ব্যতিক্রম মাত্রাকাঠোমো। গীত হলে রইস রহমানের গান আলাদাভাবে চিহ্নিত হবে সহজেই।