একাকী হুইল চেয়ারে বসে শুধুই কাঁদেন জাফর। স্ত্রী রিতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণেই অনেক দূরত্ব তৈরি করেছেন তিনি নিজেই। কাজের ছেলে, জাফরকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করতে লাগল। রিতা খাবার রান্না করে জাফরের সামনে রাখেন। ওষুধও দেন সময়মতো। কিন্তু সেখানে যেন শুধু রিতার দায়িত্ববোধটাই কাজ করে; ভালোবাসা নয়।
একদিন মিরা আর ফাহাদ এলেন জাফরকে দেখতে। জাফর ফাহাদের সঙ্গে একান্ত আলাপে বললেন, ‘আমি আমার পাপের শাস্তি পেয়ে গেছি ভাই। কখনও আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমি ভালো ব্যবহার করিনি। তাকে মেরেছি, অবহেলা করেছি, ভালোবাসিনি। আজ তাই আমাকে এই হুইল চেয়ারে বসে অসহায় হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।’ কথাগুলো শেষ করেই কাঁদতে থাকেন জাফর। ফাহমিদা সাফরীন শোভার চার দেয়াল-এর গল্পগুলোতে বর্ণিত চরিত্রগুলোর সুনিপুণ প্রকাশ ঘটেছে তার সাবলীল লেখনিতে যা ভিন্নতর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে পাঠককে।