গিলগামেশ মহাকাব্যটিতে মৃতদের জগতের একটা মন ভারী করা বিবরণ রয়েছে–যা মানুষকে এ বিষয়ে আরও গভীরভাবে ভাবার জন্য প্ররোচিত করে। এসবের মধ্য দিয়ে গিলগামেশ সে-সময়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও যাপিত জীবনের এক মহানায়ক ও অননুকরণীয় বীর হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিলেন। সব শেষে তিনি যে-প্রজ্ঞা লাভ করেছিলেন, মহাপ্লাবন থেকে উদ্ধারকারী নায়ক উতা-নাপিস্তির পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রান্তে অবস্থিত হওয়ার পর্বটি থেকে, তা তাকে প্রভাবিত করেছিল বা প্রণোদনা দিয়েছিল মানুষের জন্য বিভিন্ন মন্দির স্থাপনে ও তাদের জন্য একটা আদর্শ ও মহাপ্লাবনপূর্ববর্তী সময়ে হারিয়ে যাওয়া সঠিক দিকগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। গিলগামেশের অন্যান্য বীরোচিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে প্রত্যক্ষ করা যায় যে–সম্ভবত তিনিই প্রথম মরূদ্যান রচনা করেছিলেন, লেবানন পর্বতের চিরহরিৎ সিডার গাছগুলো কাটতে পেরেছিলেন, বৃষভ হত্যার কৌশল আয়ত্ত করেছিলেন, সমুদ্রগামী জাহাজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন, সমুদ্রের প্রবাল উপত্যকার গভীরে ডুব দিতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং এরকম আরও অনেককিছু। তাকে মানবসভ্যতার একজন অগ্রনায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা যায় সন্দেহাতীতভাবে।