কৈশোর – শৈশব এবং বড়োবেলার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করে। ছোটো থেকে বড়ো হওয়ার এ সময়ে শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে নানারকম রূপান্তর ঘটে। তাই কৈশোরকে একজন ব্যক্তির খারাপ বা ভালো হবার ছাড়পত্র হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। জীবনচক্রের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় একজন ব্যক্তি ভবিষ্যতে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে কীভাবে আরেকজন ব্যক্তির সঙ্গে, রাষ্ট্র বা সমাজের সঙ্গে সর্বোপরি গোটা বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করবে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা নির্ধারণ করে।
কৈশোরে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তাই শারীরিক, সামাজিক, নৈতিক, যৌন এবং মানসিক সুস্থতা খুব জরুরি। এসবের ওপর ভিত্তি করেই ব্যক্তির আচরণ একটি আদর্শ গড়ন পায় আর গড়ে ওঠে তার দৃষ্টিভঙ্গি।
পাশাপাশি একজন কিশোর বা কিশোরী শারীরিকভাবে যতই সুস্থ থাকুক না কেন মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই সে কেবল সামাজিক আচরণে দক্ষ ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে শেখে। কিশোরকিশোরীর মধ্যে উন্নত জীবনবোধ ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে চাইলে তার মনস্তত্ত্বটা জানা অপরিহার্য। ব্যক্তিজীবনে দায়িত্বশীল আচরণ আর দৃষ্টিভঙ্গি বদলের মাধ্যমে সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব যাবতীয় কুসংস্কার, সকল প্রকার গোঁড়ামি এবং সামাজিক অসংগতি ও অপরাধ। এ ধরনের বই বাংলা ভাষায় তেমন একটা প্রকাশিত হয়নি।