বাংলা
ফেব্রুয়ারি, ২০২১
৮৮
978-984-94874-1-8
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী আফালের গর্জন থেকে কুড়াতে চান সুখ। জন্মান্ধ কবি সেজে অন্তর্চক্ষু দিয়ে দেখেন পারিপার্শ্বিক জগৎ। কবিতার ডানায় চড়ে মুগ্ধতা নিয়ে থাকতে চান হাওর দ্বীপপুঞ্জের শহরে। কবিতা তাঁর আরাধ্য নয়, তবু আরাধ্য প্রেমিকার মতো ধরা দেয় চেতনায়। আর সেই চেতনার কর্ষিত বীজকেই তিনি বলেন কবিতা। সাংবাদিকতা কিংবা গবেষণার মতো রুক্ষ জীবনচর্চাই তাঁকে বানিয়ে দিয়েছে কবি। তিনি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির বন্ধনে বেঁধে রাখতে চান সবাইকে। যদিও তিনি কবিতায় বলেন, মানুষের মুখ সমান ভাবতে পারেন না। তাঁর প্রেম শুধু বিবাহ-পূর্ব পুরুষেরই নয় সংসারজীবনের ঘানিটানা মানুষের বোধকে প্রশ্রয় দিয়ে পিলপিল অনুভূতি তুলে হাঁটে। তাই প্রিয়তমাকে তিনি কখনও বলেন, মাংসাশী শঙ্খচিল আবার বলেন, দুরন্ত মাছরাঙা। তিনি কান পেতে শোনেন মুক্ত আয়া সোফিয়ার আজানের ধ্বনি আবার মিউজিয়ামের কারুকাজের আন্তরিক উচ্ছ্বাস। জীবনকে সমানভাবে দেখার এক দুর্দমনীয় নাম মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী।